আজকের দিনেই চলে গেলে । কিন্ত মৃত্যু হয়েছে কে বলল?
মানুষ মরণশীল । তাই প্রাকৃতিক কারণেই একদিন তোমার মৃত্যু হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। তোমার জন্মানোর দিনে এটাই সবাই জেনেছিল।
কিন্তু তুমি তো আমাদের মতো সাধারণ কেউ নও । তোমার চাওয়া পাওয়া তো আমাদের মতো সাধারণ নয়। তুমি তো তপন ঘোষ। তুমি বেঁচে থাকো । বেঁচে আছো । যতদিন বাঙালি থাকবে, ততদিন তুমি বেঁচে থাকবে।
যেদিন বাঙালি থাকবে না, সেদিন তোমার স্থান হবে গবেষণাগারে। সেখানেও তুমি বেঁচে থাকবে । এই সেই মহামানব, যে জন্মেছিলেন বাঙালি জাতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য । এই সেই মহামানব, যাঁর দৃপ্ত হুংকার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে শাহজালাল বিমানবন্দর হতে দেয়নি। এই সেই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ, যাঁর দৃঢ় সংকল্প মাতৃরুপিনী ভারতবর্ষকে আরেকবার ভাগ হতে দেয়নি । কিন্তু বাঙালি তপন ঘোষের আহবানকে কানের গহ্বর থেকে মস্তিষ্কে পরিচালনা করেনি, হৃদয়ে আন্দোলিত করেনি, তাই বাঙালির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বাঙালি তপন ঘোষের দৃঢ় সংকল্পকে নিজের সংকল্পকে পরিনত করতে পারেনি, বাঙালি তাই অস্তিত্বহীন হয়ে গেছে ।
অস্তিত্বপূর্ণ বাঙালি বা অস্তিত্বহীন বাঙালি, দুটোতেই বেঁচে থাকবেন তপন ঘোষ।