Breaking Posts

6/trending/recent
Type Here to Get Search Results !

এসো সনাতনে এসো -

গরীব সংগঠন । তার থেকেও গরিব ওদের বাপের বাড়ি । ওদের চলে যাবার কথা আজ। তাই দুপুরে হিন্দু সংহতির অফিসে এই খাওয়া দাওয়ার সামান্য আয়োজন। গত ৬ তারিখ এখানে এসেছে । তার আগে একমাস হাওড়ায় থাকার ব্যাবস্থা করা হয়েছিল। কিন্ত সেখানে পুলিশের হানা। ফলে ----- ।
ছিল রুমাল, হয়ে গেল বেড়াল - সুকুমার রায়ের এত সহজ পদ্ধতিতে মোহাম্মদ রহমত সৌরদীপ সাউ হয়নি।

ছোটবেলা থেকে সুষমা সাউ এর সাথে ভালোবাসা । কিন্তু সুষমা সাউ এর বাড়ির লোক মেনে নিতে রাজি নন। মোহাম্মদ রহমত বারবার আমাদের কাছে আবেদন নিয়ে এসেছে, সে হিন্দু হতে চায়। প্রশ্ন করলাম, "কেন, হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করবার জন্য ?"  মোহাম্মদ বলল, "সেটা তো একটা কারণ বটেই, তার থেকেও বড় কারণ, আমি জেনেছি, আমার পূর্বপুরুষরা সবাই হিন্দু ছিল । আমি কাজের জায়গা থেকে যখন বাড়ি ফিরি তখন একটা মন্দিরের পাশ দিয়ে যেতে হত । আমি দাঁড়িয়ে যেতাম মন্দিরের সামনে, ভেতরে ঢুকবার সাহস হতো না, যদি কেউ কিছু বলে । অদ্ভুত সুন্দর করে ভগবানকে ডাকা। " 
তারপর নিজেই জানালো, সে প্রায়শ্চিত্ত করতে চায় । জড়িয়ে ধরে বললাম, "ভাই, প্রায়শ্চিত্ত তো আমার করা উচিত, আমাদের করা উচিত, তোমার পূর্বপুরুষকে ধরে রাখতে পারিনি তাই ।"

ভারতবর্ষ তথা এই উপমহাদেশের এত কোটি মুসলমান যারা সবাই জন্মসূত্রে এবং উত্তরাধিকারী সূত্রে এই দেশের সনাতন সংস্কৃতির মানুষ, তারা বেরিয়ে গেছে এই সংস্কৃতি থেকে, এর দায় শুধু ইসলামের তরবারি নয়, এর দায় আমাদের, সনাতন সমাজের  আপামর ধারক বাহকদের । সেদিন বাবা সাহেব আম্বেদকর এক কোটি দলিতকে বৌদ্ধ ধর্মের দীক্ষিত না করলে তাঁরা সেদিন ইসলামকেই তাদের মুক্তির পথ হিসেবে মেনে নিতেন।
সোমবার সকালেই লালবাজার থেকে ফোন । এরকম ফোন মাঝে মাঝেই আসে । বাজারে আমাদের রেপুটেশন খুবই খারাপ । কোন মুসলমান ছেলে বা কোন মুসলমান মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেই খোঁজ পরে আমাদের, "আপনারা জানেন কি কিছু ?" এবং অদ্ভুত ব্যাপার, এই সমস্ত কেসে আমাদেরই যেন পায় পুলিশ। যা বলছিলাম, লালবাজার মিসিং স্কোয়াড থেকে একজন অফিসার ফোন করে জিজ্ঞাসা করলেন ,  "সুষমা সাউ আপনাদের ওখানে আছে ?" সাধারণত মিথ্যার আশ্রয় আমরা নেই না। যা করি, বুক বাজিয়ে, শিরদাঁড়া সোজা রেখে। পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে, লকআপে রাখবে, জেল খাটবো, এই মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই তপন ঘোষ এর হাত ধরে এই রাস্তায় চলা । তাই পরিষ্কার বললাম," মিথ্যা কথা বলবো না। আমাদের এখানেই আছে । ফোনে কথা বলতে পারেন, ওর কোন রকম অসুবিধা হচ্ছে না ।" 
"ঠিক আছে, আসলে ওর বাড়ি থেকে মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে,  তাই । মঙ্গলবার লালবাজারে মিসিং স্কোয়াড এ নিয়ে আসবেন । ওদের থেকে পুরো জিনিসটা শুনতে চাই ।"

হিন্দু সংহতির দুই যোদ্ধা, সাগর হালদার ও সুন্দর গোপাল দাস আজ ওদের নিয়ে গেল লালবাজারে, সবাইকেই বেশ কিছুক্ষণ জেরা, তারপর হাসিমুখে বিদায় ।
এখন বুঝতে পারি, স্বামী বিবেকানন্দ কেন বলেছিলেন "গীতা পাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলা ভালো" 

"আমাদের উপনিষদ যতই বড় হউক, অন্যান্য জাতির সহিত তুলনায় আমাদের পূর্বপুরুষ ঋষিগণ যতই বড় হউন, আমি তোমাদিগকে স্পষ্ট ভাষায় বলিতেছি - আমরা দুর্বল, অতি দুর্বল। প্রথমত আমাদের শারীরিক দৌর্বল্য- এই শারীরিক দৌর্বল্য আমাদের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ দুঃখের কারণ। আমরা অলস, আমরা কাজ করিতে পারিনা; আমরা এক সঙ্গে মিলিতে পারিনা; আমরা পরস্পরকে ভালোবাসি না; আমরা ঘোর স্বার্থপর; আমরা তিনজন একসঙ্গে মিলিলেই পরস্পরকে ঘৃণা করিয়া থাকি, ঈর্ষা করিয়া থাকি। আমাদের এখন এই অবস্থা- আমরা অতিশয় বিশৃঙ্খল ভাবাপন্ন, ঘোর স্বার্থপর হইয়া পড়িয়াছি- শত শত শতাব্দী যাবত্ এই লইয়া বিবাদ করিতেছি- তিলক ধারণ এইভাবে করিতে হইবে, কি ঐভাবে। কোন মানুষের দৃষ্টিতে আমার খাওয়া নষ্ট হইবে কিনা - এই ধরনের গুরুতর সমস্যার উপর বড় বড় বই লিখিতেছি। যে জাতির মস্তিষ্কের সমুদয় শক্তি এইরূপ অপূর্ব সুন্দর সুন্দর সমস্যার গবেষণায় নিযুক্ত, সে জাতির নিকট হইতে বড় রকমের একটা কিছু আশা করা যায়না, এরূপ আচরণে আমাদের লজ্জাও হয়না! হাঁ, কখন কখনও লজ্জা হয় বটে, কিন্তু আমরা যাহা ভাবি, তাহা করিতে পারিনা। আমরা ভাবি অনেক কিছু, কিন্তু কার্যে পরিনত করিনা। এইরূপে তোতোপাখির মত কথা বলা আমাদের অভ্যাস হইয়া গিয়াছে- আচরণে আমরা পশ্চাত্পদ। ইহার কারণ কি? শারীরিক দুর্বলতাই ইহার কারণ। দুর্বল মস্তিষ্ক কিছু করিতে পারেনা; আমাদিগকে সবল মস্তিষ্ক হইতে হইবে- আমাদের যুবকগণকে প্রথমত সবল হইতে হইবে, ধর্ম পরে আসিবে। 

হে আমার যুবক বন্ধুগণ, তোমরা সবল হও - তোমাদের নিকট ইহাই আমার বক্তব্য। গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলিলে তোমরা স্বর্গের আরো নিকটবর্তী হইবে। আমাকে অতি সাহসপূর্বক এই কথাগুলি বলিতে হইতেছে; কিন্তু না বলিলেই নয়। আমি তোমাদিগকে ভালোবাসি।

আমি জানি, সমস্যা কি- কাঁটা কোথায় বিঁধিতেছে। আমার কিছু অভিজ্ঞতা আছে। তোমাদের বলি, তোমাদের শরীর একটু শক্ত হইলে তোমরা গীতা আরো ভাল বুঝিবে। তোমাদের রক্ত একটু তাজা হইলে তোমরা শ্রীকৃষ্ণের মহতী প্রতিভা ও মহাণ বীর্য ভাল করিয়া বুঝিতে পারিবে। যখন তোমাদের শরীর তোমাদের পায়ের উপর দৃঢ়ভাবে দন্ডায়মান হইবে, যখন তোমরা নিজেদের মানুষ বলিয়া অনুভব করিবে, তখনই তোমরা উপনিষদ ও আত্মার মহিমা ভাল করিয়া বুঝিবে। এইরূপে বেদান্ত আমাদের কাজে লাগাইতে হইবে। অনেক সময় লোকে আমার অদ্বৈত মত প্রচারে বিরক্ত হইয়া থাকে। অদ্বৈতবাদ বা অন্য কোন বাদ প্রচার করা আমার উদ্দেশ্য নহে। আমাদের এখন কেবল আবশ্যক : আত্মার এই অপূর্ব তত্ত্ব - অনন্ত শক্তি, অনন্ত বীর্ষ, অনন্ত শুদ্ধতা ও অনন্ত পূর্ণতার তত্ত্ব অবগত হওয়া।"

গীতা পাঠ উপলক্ষে কারণে অকারণে মঞ্চে উঠে "গাঁ মানে না আপনি মোড়ল" কিছু স্বঘোষিত "নেতার" নিজের মুখ দেখিয়ে নিজেকে জাহির করা নয়, গীতার আদর্শকে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রয়োগ করবার জন্যই দরকার শারীরিক শক্তি, মানসিক বল ।
হিন্দু মতে সৌরদীপ সুষমার বিয়ে হয়ে গেছে য। সনাতন আদর্শেই ওরা কাটাবে ওদের বৈবাহিক জীবন। দেনমোহরের বিনিময়ে স্ত্রী কেনাবেচা নয়,  অগ্নিসাক্ষী রেখে দুজনে দুজনের পাশে থাকবে চিরকাল, এই শপথ নিয়েই শুরু হয়েছে ওদের নতুন জীবন এর যাত্রা ।

সুষমার অভিভাবকদের সাথে কথা চলছে। ওর পিসি আজ আমাদের সাথে থাকবেন। চলেও এসেছেন হিন্দু সংহতির অফিসে ।

সৌরদীপ সুষমা সুখের সংসার করুক, এটাই আমরা চাই । সাগর আবার মজা করে সৌরদীপকে বলেছে, "তোকে যখন সুষমা পেটাবে, তুই এখানে চলে আসবি শান্তনুদা র কাছে।" 

বালাই সাট। ওরা সুখী হোক, ওরা হিন্দু সমাজের কাছে এক নতুন বার্তা দিক, সমস্ত মুসলমান সমাজের কাছে এক বার্তা যাক, তোমরাও ছিলে এই সনাতন সংস্কৃতি ধারক বাহক, ফিরে এসো নিজের সংস্কৃতিতে । ভুল যদি হিন্দু সমাজের হয়ে থাকে, ক্ষমা করে দাও সে ভুল। এসো, একসাথে গান গাই সবাই -
সঙ্ঘ শরণ তীর্থযাত্রা-
পথে এসো মোরা যাই।
সঙ্ঘ বাঁধিয়া চলিলে অভয়
সে পথে মৃত্যু নাই।।

LONG LIVE HINDU SAMHATI
** আর একটা কথা, গতকাল খ্রিস্টান বন্ধুরা ক্রিসমাসের উইশ করলে সেটাকে একসেপ্ট করেছি এবং বিনিময়ে ওদেরও wish করেছি । গতকাল বেশ ভালো করে কেকও খেয়েছি। এতে আমার হিন্দুত্ব নষ্ট হয়েছে বলে মনে করি না ।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.